অপরিচিত পুরুষের সাথে যখন ফেসবুকে আমার পরিচয় হলো"

অপরিচিত পুরুষের সাথে যখন ফেসবুকে আমার পরিচয় হলো"

  •  
   

ফেসবুকে চ্যাটিং uk.cdn.ampproject.org/i/s/ichef.bbci.co.uk/news/976/cpsprodpb/4C1F/production/_100078491_5_pragya_story_illustration2.jpg" srcset="https://ichef-bbci-co-uk.cdn.ampproject.org/i/s/ichef.bbci.co.uk/news/270/cpsprodpb/4C1F/production/_100078491_5_pragya_story_illustration2.jpg 270w, https://ichef-bbci-co-uk.cdn.ampproject.org/i/s/ichef.bbci.co.uk/news/375/cpsprodpb/4C1F/production/_100078491_5_pragya_story_illustration2.jpg 375w, https://ichef-bbci-co-uk.cdn.ampproject.org/i/s/ichef.bbci.co.uk/news/485/cpsprodpb/4C1F/production/_100078491_5_pragya_story_illustration2.jpg 485w, https://ichef-bbci-co-uk.cdn.ampproject.org/i/s/ichef.bbci.co.uk/news/590/cpsprodpb/4C1F/production/_100078491_5_pragya_story_illustration2.jpg 590w, https://ichef-bbci-co-uk.cdn.ampproject.org/i/s/ichef.bbci.co.uk/news/695/cpsprodpb/4C1F/production/_100078491_5_pragya_story_illustration2.jpg 695w" style="border: none; bottom: 0px; box-sizing: border-box; color: inherit; display: block; font-weight: inherit; height: 0px; inset: 0px; left: 0px; margin: auto; max-height: 100%; max-width: 100%; min-height: 100%; min-width: 100%; padding: 0px; position: absolute; right: 0px; top: 0px; vertical-align: baseline; width: 0px;" />
Image captionফেসবুকে চ্যাটিং
[আধুনিক ভারতীয় নারীদের চিন্তাভাবনা - বিবেচনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিবিসি হিন্দির বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন 'হার চয়েস।' ১২ জন ভারতীয় নারীর বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা, তাদের আকাঙ্ক্ষা, বিকল্পের সন্ধান - এ সবই উঠে এসেছে তাদের মুখ থেকে। আজ উত্তর ভারতের এক নারীর জীবনকথা। তিনি বলছিলেন স্বামীর সংসারে হতাশ হয়ে ফেসবুকে অপরিচিত পুরুষের সাথে তার চ্যাট করার অভিজ্ঞতার কথা।বিবিসি সংবাদদাতা প্রজ্ঞা মানভের সঙ্গে ওই নারীর কথোপকথনের ভিত্তিতে লেখা এই প্রতিবেদন। তার অনুরোধেই নাম পরিচয় গোপন রাখা হলো।]
"যেদিন আমি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলি, সেদিনই তার কাছ থেকে আমি একটি মেসেজ পেলাম।
প্রথমে একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি কেনো আমাকে লিখতে যাবেন?
আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না, আমি একাই ছিলাম। তারপরেও আমি খুব ভয়ে ভয়ে চারদিকে তাকালাম।
এটা ছিলো খুব বোকা বোকা একটি ব্যাপার। নিজের আচরণে আমি হাসলাম এবং মেসেজটি খুলে পড়তে লাগলাম।
হঠাৎ তার মেসেজ
তিনি লিখেছেন, "হাই, আমি আপনার বন্ধু হতে চাই।"
আমি হাসলাম এবং ওই মেসেজের দিকে কয়েক মিনিট তাকিয়ে রইলাম। আমি তখনও বুঝতে পারছিলাম না এর জবাবে আমি কি লিখবো, নাকি মেসেজটিকে উপেক্ষা করবো।
ভাবছিলাম, অপরিচিত একজন ব্যক্তির মেসেজের জবাব দেব কেনো? আমার স্বামী যদি এসব জানতে পারেন তাহলে কি হতে পারে? সে ব্যাপারটা কিভাবে নেবে?
স্বামীকে নিয়ে আমার এই ভাবনা আমাকে রাগিয়ে দিলো। কারণ সে এমনই এক ব্যক্তি যে অপরিচিত এক পুরুষের কাছ থেকে আসা সামান্য 'হাই' শব্দটিও তাকে ক্রুদ্ধ করে তুলতে পারে।
পরিস্থিতি যদি অন্য রকম হতো আমি হয়তো এ ধরনের একটি মেসেজ উপেক্ষাই করতাম। কিন্তু আমি এতোই রেগে ছিলাম যে তাকে আমি পাল্টা 'হাই' লিখে তার মেসেজের জবাব দিলাম।
তারপর শুরু
তার নাম ছিলো আকাশ। আমি তাকে একেবারেই চিনতাম না। কিন্তু তার 'ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট' গ্রহণ করে আমি তাকে বন্ধু বানিয়ে ফেললাম। এটা নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তা ভাবনাও করিনি।
কি কারণে জানি না তার মনে হয়েছিলো যে আমি একজন বিমানবালা।
আমি তাকে সত্য কথাটা বলে দিতে পারতাম। কিন্তু বলি নি। কারণ আমি একজন বিমানবালা এটা ভাবতে আমার ভালো লাগছিলো।
ছোট বেলা থেকেই আমি শুনে আসছি যে আমি খুব সুন্দরী। আমার গায়ের রঙ দুধের মতো শাদা, পটোলচেরা চোখ আমার, ফিগারও খুব ভালো। আমি নিশ্চিত যে দেখতে আমি আকর্ষণীয় এক নারী।
কিন্তু আমাকে বিয়ে দেওয়া জন্যে আমার পিতামাতা খুব তাড়াহুড়ো করতে লাগলেন এবং তারা যাকে প্রথম পছন্দ করলেন তার সাথেই আমার বিয়ে দিয়ে দিলেন।
আমার বিবাহিত জীবন
কিন্তু আমার আবেগ অনুভূতি বা রোমান্স নিয়ে এই ব্যক্তির কোনো ধরনের আগ্রহ ছিলো না।
কিন্তু বিয়ের আগে আমি স্বপ্ন দেখতাম যে আমার এমন একজনের সাথে বিয়ে হবে যে আমাকে খুব ভালোবাসবে, মাঝে মাঝে আমাকে সারপ্রাইজ দেবে এবং কখনও সখনো আমাকে এক কাপ চা-ও বানিয়ে দেবে।
কিন্তু আমার স্বামী আসলে একটি যন্ত্রের মতো। প্রতিদিনের মতোই সে সকালে ঘুম থেকে উঠে, কাজে যায়, দেরি করে বাড়িতে ফিরে আসে, রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় ঘুমাতে চলে যায়।
এটা এমন নয় যে তার ব্যস্ততা আমি বুঝতে পারি না। কিন্তু কোন একজন ব্যক্তির তার স্ত্রীকে সুন্দর কিছু একটা বলতে কতোটুকু সময় লাগতে পারে? অথবা কতোটুকু সময় লাগতে পারে তার স্ত্রীকে একটু জড়িয়ে ধরতে কিম্বা স্ত্রীর মুখের দিকে একটা ভালোবাসার চোখে তাকাতে?
'আমরা শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হই কিন্তু তার মধ্যে কোনো রোমান্স থাকে না'
Image caption'আমরা শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হই কিন্তু তার মধ্যে কোনো রোমান্স থাকে না'
হয় আমার স্বামীর মধ্যে এসব আবেগ অনুভূতি নেই। অথবা তিনি হয়তো এমন এক ধরনের পুরুষ যে তার স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা বললে আত্ম-অহমিকায় আঘাত লাগে।
আমরা শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হই কিন্তু তার মধ্যে কোনো রোমান্স থাকে না। সেক্সের আগে যে একে অপরকে আদর করে এর জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করতে হয় সেসবও আমরা করি না।
সে কখনও আমার প্রশংসাও করেনি। যতোই ভালো রান্না করি বা বাড়িঘর যতো সুন্দর করেই গুছিয়ে রাখি না কেনে সে কখনো আমাকে এজন্যে ভালো কিছু বলে না।
সে ছবি চাইলো
আকাশ যখন আমাকে আমার মেসেজ পাঠালো তখন আমি এসব ভাবনায় ডুবে ছিলাম। সে আমার ছবি দেখতে চাইলো।
ইন্টারনেট আমি তখনও খুব একটা বুঝে উঠতে পারিনি। এমনকি আমরা ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুলে দিয়েছেন আমার স্বামী। সে-ই আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতে হয় এবং কিভাবে মেসেজের জবাব দিতে হয়।
ফেসবুকে আমার প্রোফাইলে কোনো ছবি ছিলো না। সেখানে একটা ছবি আপলোড করতে ভয় পাচ্ছিলাম আমি। কারণ আমি শুনেছি এখান থেকে ছবি চুরি করে সেসব নাকি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।
কিন্তু আকাশ খুব জোর করছিলো। এই বিষয়টি আমি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এমনকি তাকে এটাও বলে দিলাম যে আমি আসলে বিমানবালা নই।
এতে সে মোটেও নিরুৎসাহিত হলো না। বরং সে আমার ছবি দেখার জন্যে আরো বেশি উন্মুখ হয়ে পড়লো।
কিন্তু সমস্যা হলো আমিও যদি ছবি আপলোড করতে চাইতাম, সেটা আমি করতে পারতাম না, কারণ আমার কাছে কোনো সুন্দর ছবি ছিলো না।
তিনিও বিবাহিত ছিলেন
আকাশ ছিলেন বিবাহিত। তিনি বললেন, তার একটা তিন বছরের ছেলে আছে। তিনি চাকরি করেন, কর্মসূত্রে বিদেশে যান এবং তাকে বিভিন্ন পার্টিতেও অংশ নিতে হয়।
তিনি বললেন যে ওসব পার্টিতে নাকি মেয়েরা প্রকাশ্যে মদ ও সিগারেট খায়।
এসব কিছুই আমার জন্যে ছিলো নতুন। আমার কাছে এটা ছিলো অপরিচিত ও উত্তেজনাময় এক পৃথিবীকে দেখার জানালা।
তার স্ত্রী-ও তার মতোই উচ্চ-বেতনের চাকরি করেন একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে। আকাশ আমাকে বললেন যে তার স্ত্রী সবসময় ব্যস্ত থাকে। তারা একসাথে খুব একটা সময় কাটাতে পারেন না।
একবার তিনি আমাকে বললেন, "একবার একটি ঘটনা নিয়ে আমি খুবই ভেঙে পড়েছিলাম, চেয়েছিলাম তার সাথে বিষয়টি শেয়ার করতে, কিন্তু তিনি মিটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।" তার প্রতিটি কথার সাথেই আমি নিজেকে মেলাতে পারছিলাম।
আমার অপেক্ষা
তারপর আমরা প্রতিদিনই চ্যাট করতে থাকি। আমরা খুব মজা করতাম। আমি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে দুপুরের জন্যে অপেক্ষা করতাম যে আকাশ কখন আমাকে মেসেজ পাঠাবে।
একদিন আকাশ আমাকে ওয়েবক্যাম চালু করতে বললেন। তখন আমি একটু বিব্রত হয়ে অফলাইনে চলে যাই।
সেদিন আমি স্নানও করি নি। মনে হয়েছিলো আকাশ যদি আমাকে ওই অবস্থায় দেখে ফেলে!
একটা ছবি দেওয়ার জন্যে তিনি প্রতিদিন জোর করতে লাগলেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না এই পরিস্থিতি আমি কীভাবে সামাল দেব। তখন আমি তাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করলাম। আমরা সাধারণত যে সময়ে চ্যাট করতাম সেই সময়টা আমি অনলাইনে যাওয়া বন্ধ করে দিলাম।
এভাবে কয়েকদিন চললো তারপর একদিন আকাশ আমাকে ব্লক করে দিলেন। আমি জানতাম এরকমই কিছু একটা হবে। তারপরেও আমার মন খারাপ হয়েছিলো।
শূন্য হয়ে গেলো জীবন
আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিলো না। কিন্তু তারপরেও তার চলে যাওয়ার পর আমার জীবনটা যেনো শূন্য হয়ে গেলো।
আমি আমার নিজের উপরে আকাশেরও চাইতে বেশি রাগ করলাম। নিজেকে মনে হলো আমি পরজীবী এক মানুষ। খুব অসহায় লাগলো নিজেকে। কেন আমি একটা কেরিয়ার গড়ে তুললাম না? তৈরি করলাম না নিজের জীবন? আমার যদি একটা চাকরি থাকতো তাহলে তো আমি আমার মতো করে বেঁচে থাকতে পারতাম!
এই ঘটনার পর আমি ফেসবুক থেকে বেশ কয়েকদিন দূরে থাকলাম।
'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার মেয়ের জীবনে আমি এরকম হতে দেব না'
Image caption'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার মেয়ের জীবনে আমি এরকম হতে দেব না'
কিন্তু একটা দৃষ্টির বাইরে গেলেই যে মন থেকে দূরে চলে যাবে সেরকমটা হলো না। আকাশের সাথে আমি ফেসবুকে যেভাবে সময় কাটাতাম সেসব আমাকে তাড়া করতে লাগলো।
আমরা যখন চ্যাট করতাম, সময় চলে যেতো দ্রুত। কোনো কারণ ছাড়াই সারাদিন আমার মুখে একটা হাসি লেগে থাকতো।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, অনলাইনে আমাদের এই ভার্চুয়াল সম্পর্কের কারণে আমার স্বামী-ই সবচেয়ে বেশি লাভবান হতো।
আমার সুখী জীবন
আমার স্বামীর দিক থেকে কোনো ধরনের বাড়তি চেষ্টা ছাড়াও আমি ছিলাম একজন সুখী মানুষ। আমাদের সম্পর্কের সেই শূন্যতা পূরণ করে দিয়েছিলো আকাশ।
আমি তো কিছু ভুল করি নি। আমি আমার স্বামীর সাথে প্রতারণাও করি নি। আমি তো অন্য কারো সাথে বিছানাতেও যাই নি। আমি শুধু ফেসবুকে একটুখানি চ্যাট করেছিলাম।
ওই চ্যাটে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হতো যে একজন নারী হিসেবে আমার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। একজন স্ত্রী হওয়ার বাইরেও যে আমার একটা জীবন থাকতে পারে সেটা বুঝতে পেরেছিলাম।
এই পরিস্থিতিতে আমি আকাশের সাথে আবার যোগাযোগ করবো কিনা এমন একটা দ্বিধা ও সংশয়ের মধ্যে পড়ে রইলাম।
আরো কিছু পুরুষ
তারপর একদিন, আমি ফেসবুকে একটা লোকের প্রোফাইল ছবি দেখলাম। পুরুষটি দেখতে খুব সুন্দর। আমি বুঝতে পারলাম না আমার ভেতরে কি হচ্ছিলো। কিন্তু আমি তাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিলাম।
সে জবাব দিলো, "আপনি বিবাহিত। আপনি কেন আমাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন?" আমি বললাম, "কেনো, বিবাহিত মহিলাদের কি বন্ধু থাকতে পারে না?"
ব্যাস, এতোটুকুই। তারপর আবার শুরু হলো। এবং আমাদের মধ্যে এখনও যোগাযোগ আছে।
কিন্তু তিনিই একমাত্র ব্যক্তি নন। পরে আমি আরেকজন পুরুষের প্রোফাইল দেখলাম যেখানে তিনি বেশ কিছু সেলেব্রিটি বা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
আমার তখন মনে হলো এধরনের একজন মানুষের জীবন সম্পর্কে জানতে পারলে সেটাও খুব মজার হবে। আমি তাকেও একটা রিকোয়েস্ট পাঠালাম। তিনিও সেটা একসেপ্ট করলেন।
নতুন জীবন
জীবনটা বেশ উত্তেজনাকরই মনে হচ্ছিলো। তারপর কোন এক সময় আমি গর্ভধারণ করি। আমার মেয়ে আমার জীবনটাকে পুরো বদলে দিয়েছে। তখন আর আমার কিছুর জন্যেই সময় ছিলো না।
তার বয়স এখন তিন বছর। কিন্তু এখন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করাও খুব কঠিন।
একটা সময় আসে যখন আমি কারো একজনের সাথে কথা বলতে চাই। কিন্তু আমি যখনই মোবাইল ফোনটা হাতে নেই সে তখন দৌড়ে আসে এবং তাকে ফোনটা দেওয়ার জন্যে সে কান্নাকাটি করতে থাকে। ফোনে সে কার্টুন দেখতে পছন্দ করে।
কখনও কখনও খুব হতাশ লাগে। আমি ভাবি, আমি যে ধরনের নারী ছিলাম সেরকম কি আবার হতে পারবো? অথবা কোনো একজনের স্ত্রী কিম্বা মা হওয়াই কি আমার জীবনের একমাত্র গন্তব্য ছিলো।
সেকারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার মেয়ের জীবনে আমি এরকম হতে দেব না।
সে যাতে নিজের উপর নির্ভরশীল একজন নারী হয়ে উঠতে পারে, যাতে সে তার জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে, সেজন্যে আমি তাকে সাহায্য করতে চাই।"

Post a Comment

6 Comments

  1. আমার সাথে ইমো সেক্স করুন একদম ফ্রী ।
    imo Video Sex
    whatsapp Video Sex

    ReplyDelete
  2. কামুকী আপু ও ভাবিরা যারা প্রকৃত যৌন ক্ষুধায় অস্থির হয়ে আছো। যাদের বর প্রকৃত যৌন সূখ দিতে অক্ষম, তারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সূখ প্রকৃত যৌন সূখ পেতে আমাকে নক করো। আমাকে দিয়ে তোমরা যা করাতে চাইবে আমি তাই করবো। এক কথায় তোমাদের দেহের গোলাম হয়ে যাবো। আমার উপর ১০০% ভরসা রাখতে পারো। ওয়াদা করছি অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে যৌনতার আসল সূখ দিবো।

    ReplyDelete
  3. সব বয়সের মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি:- সেক্স কোন
    লজ্জার বিষয় না, সেক্স করতে ইচ্ছে করেনা এমন মানুষ নেই।
    সেক্স মানুষের মৌলিক চাহিদা, তাই আমি একজন বিশ্বস্ত
    সেক্স পার্টনার খুঁজছি। যার সাথে আমার ভাল বন্ধুন্তপূর্ন
    সম্পর্ক থাকবে এবং চাইলে আমরা সেক্স করতে পারবো। যে
    সকল ভাবি,আপু,আন্টিদের স্বামী দেশের বাইরে
    থাকে,ডিবোর্স হয়ে গিয়েছে,স্বামী কাছে থাকলেও তিনি
    আপনাকে পূর্ন যৌন তৃপ্তি দিতে অপারগ,বা যে কোন
    কারনে আপনি যৌন জীবনে অসুখি..??? আর অনেক মেয়েই
    আছে স্টুডেন্ট কিন্তু ভিশন একাকিত্তে ভুগছে,ভিশন সেক্স
    করতে ইচ্ছে করে কিন্তু নিরাপত্তা বা লজ্জায় মুখ ফুটে
    লজ্জায় কাওকে বলতে পারছনা.! সেই সকল আপু,ভাবি,আন্টি
    এবং বিবাহীত/
    অবিবাহীত মেয়েরা কোন প্রকার লজ্জা বা দ্বিধা সংকোচ
    ছাড়া আমার inbox এ টেক্সট করুন,,আমি আপনাকে পূর্ন
    যৌন সুখ দিতে সবসময় প্রস্তুত। আপনি যেভাবে চাইবেন
    সেভাবে রিয়েল সেক্স করে আপনাকে পূর্ন সুখ দিবো।আর
    আমাকে অবিশ্বাস লজ্জা বা সংকোচ করার কোন কারন
    নেই,আমি আপনার মতই একজন বিশ্বস্ত পার্টনার খুঁজছি।
    আপনি ১০০% নিশ্চিত থাকতে পারেন আমাদের সম্পর্ক
    আমরা দুজন ছাড়া আর কেউই যানবেনা। তাই আর দেরি না
    করে inbox এ আসুন। আপনার মনের কথা খুলে বলুন, আমি
    আপনারই অপেক্ষায়... come in to my inbox to talk
    about real সেক্স

    ReplyDelete
  4. আপনি কি টাকার বিনিময়ে মেয়েদের সাথে সেক্স করতে চান। তাহলে কল করুন। ০১৭০৭৬০৭৯২২

    ReplyDelete
  5. নতুন নতুন চটি গল্প পড়তে ভিজিট করুন
    valobasargolpo2.blogspot.com

    ReplyDelete